চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জ আসার পথে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণীকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সাঈদ আরিফকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তরুণী বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণ পাড়া এলাকার জনৈক ব্যক্তির মেয়ে। এছাড়া আটককৃত যুবক ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার আনোয়ার আজমের ছেলে। সে চট্টগ্রাম বিএসআরএম স্ট্রিল কোম্পানির টেকনিশিয়ান ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ৫ বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেম চলতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণী চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন। বিষয়টি ওই তরুণী পূর্বেই প্রেমিক সাঈদ আরিফকে জানিয়ে রাখেন। এ সময় আরিফ তরুণীকে না জানিয়েই ফেনী থেকে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনের টিকেট কেটে রাখেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ট্রেনটি ফেনী স্টেশনে পৌঁছালে আরিফ ট্রেনে উঠে। এ সময় সে তরুণীর কাছে আসে এবং ফুসলিয়ে পাশ্ববর্তী কেবিনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে আরিফ। এক পর্যায়ে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে আরিফ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই তরুণী আরিফকে পালাতে বাঁধা দেয়। এ সময় তরুণীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে আরিফ। পরে ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে পৌঁছামাত্রই ওই তরুণী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন কেবিনের ভেতরে প্রবেশ করে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক আরিফকে আটক করে। পরে তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎসব কর্মকার হাসপাতালে পৌঁছে আরিফকে জনতার কাছ থেকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ বলেন- পাঁচ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের প্রেম চলে। ট্রেনে ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও অভিযোগ না দেয়ায় বুধবার বিকেলে অভিযুক্তকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।