টেকনাফে নিজ বসতবাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কপিল আহাম্মদ(৩০) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।
তিনি হ্নীলা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড রসুলাবাদ আশ্রয় কেন্দ্র এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তার মা শোরচিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
নিহতের মা স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানান, প্রতিদিনের মতো তার ছেলে বাহির থেকে এসে রাতে ঘুমানোর জন্য রুমে প্রবেশ করে। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যাওয়ার পর তার ছেলে রুমের ভিতর থেকে বাহির না হলে ছেলেকে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করতে থাকেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পার্শ্ববর্তী আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় রুমের দরজা ভেঙে তার ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
তিনি আরো জানান, তার ছেলে দুই সন্তানের জনক। কয়েক মাস আগে তার ছেলের বউ মারা গেছে। তার দুই সন্তান বর্তমানে নানার বাড়িতে থাকে। তার রুমে অন্য কেউ ছিল না।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায়, নিহতের সংসারে সবসময় অভাব অনটন লেগে থাকত।
তিনি সময়মতো স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ দিতে পারতেন না। অভাবের যন্ত্রণা সইতে না পেরে কপিল আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা তাদের।
এদিকে সংঘটিত এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত এ বি এম এস দোহা জানান, ঘটনাটি শোনার পর এসআই রাসেল আহাম্মদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল লাশটি উদ্ধার করার জন্য ঘটনাস্থলে যায়।
এ ব্যাপারে এসআই রাসেল আহাম্মদ বলেন,লাশ উদ্ধার করার পর পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানতে পারলাম তিনি স্ব-ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি দাফন করার জন্য স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।