কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ায় ইউনিয়নের এক অসহায় কৃষকের বসত ভিটা দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড় জামছড়ি মুরা পাড়া গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে মুফিদুল আলম ২ বছর আগে একই এলাকার ডাঃ নুরুল হক থেকে দখল মুলে স্থায়ী গন্যমান্য দের স্বাক্ষী করে ১ একর খাস জমি কিনে তাতে ফলজ বাগান করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল কৃষক মুফিদুল আলম। সে (মুফিদুল আলম) কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, আমি অভাবের কারনে এলাকার বাহিরে থাকায় পাশ্ববর্তী মৌলভীর কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাফর আলমের ছেলে সরওয়ার আলম প্রায় আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কে কু-প্রস্তাব দিত। আমার স্ত্রী তার প্রস্তাবে রাজী না হলে সে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সেই সাথে আমার বসত ভিটা দখলে নেবে বলে হুমকি দিলে আমার স্ত্রী আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়, আমি কর্মস্থল থেকে বাড়িতে এসে মাষ্টার সরওয়ারের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, হয় আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিবি, না হয় আমি ফরেস্টার এনে তুর ঘর ভেঙ্গে দিব। তাই আমি প্রভাব শালীর হাত থেকে বাঁচতে জন প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি। এ বিষয়ে মৌলভীরকাটা বিট অফিসার শেখ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারী জমি উদ্ধার করা আমাদের চাকরি। কিন্তু এ বিষয়ে এ পর্যন্ত আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আর আমার নাম ভাংগিয়ে কারো কাছ থেকে কেউ টাকা দাবি করলে তার বিরুদ্ধে আমি আইনানুগ ব্যাবস্থা নেব। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে মাস্টার সরওয়ার আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এক জন শিক্ষক মানুষ। আমার কাজ মানুষকে সু-শিক্ষা দেওয়া কোন মেয়ের সাথে কথা বলা আমার কাজ নয় তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ির পাশ্ববর্তী আমার চাষি জমি আছে তা দেখতে গিয়ে দেখি সে (মুফিদুল আলম) সরকারী পাহাড় কেটে চাষি জমি ভরাট করছে আমি তাকে পাহাড় কাটতে নিষেধ করায় আমার নামে এসব রটাচ্ছে।