ঈদগাঁও বাজারে বিকাশের দোকান থেকে কৌশলে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়ল সাইদুল আকরাম মাসুম নামের এক যুবক। সে মহেশখালীর কালারমারছড়ার ইউনুছখালী পাড়ার মৌলভী ছৈয়দুল হকের ছেলে বলে জানা গেছে।
২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা দিকে তাকে ডিসি রোডের ইউনুছ স্টোর থেকে ধৃত করা হয়। ধৃত মাসুম দীর্ঘদিন ধরে এক দোকান থেকে ইজি লোড করার অভিনয়ে দোকানদের বিকাশ একাউন্টের গোপন নম্বর জেনে নিত। পরে তার পরিচিত কয়েকটি বিকাশ একাউন্টে কৌশলে টাকা পাঠিয়ে দিত৷ অনুরূপভাবে ঘটনার দিনও ডিসি রোডের ইউনুছ স্টোরে এসে দুইটি নম্বরে এক হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা প্রেরণ করে। দোকান কর্মচারীর সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে নিজের দায় স্বীকার করে। পরক্ষণে বাজারের আরো প্রতারিত হওয়া বিকাশের দোকানদার এসে প্রতারক মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকে। একইদিন ইত্যাদি স্টোর থেকে এক হাজার টাকা,রূপম মোবাইল সার্ভিসিং থেকে এক হাজার টাকা, হাজী নুর কুলিং কর্নার থেকে তিন হাজার টাকা প্রেরণ করে। ভুক্তভোগী দোকানদার ঘটনাস্থলে আসলে প্রতারক মাসুম তাদের দোকান থেকেও প্রতারণা মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার দায় স্বীকার করে। বিষয়টি রাজনীতিবিদ শওকত আলমের নজরে আসলে তিনি বাজার কমিটিকে অবগত করে।বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, সহ সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেকসহ আরো দুই সদস্য ঘটনাস্থলে এসে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান ওসমান বিন তারেকের বরাত দিয়ে সাধারণ সম্পাদক রিকো জানান, ধৃত মাসুম চিহ্নিত একজন প্রতারক। সে কদিন আগেও কালার মার ছড়ায় প্রতারণা করতে গিয়ে গণ ধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বিকাশ প্রতারনায় মাসুম নামের এক যুবককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।