দীর্ঘ ২৪বছর পর নির্মিত হল ঈদগাঁওর উপ-ডাকঘরের নতুন অফিসটি। এনিয়ে বৃহত্তর এলাকা বাসীর মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঈদগাঁওবাসী।
কক্সবাজার সদরের বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁওর সরকারী উপ-ডাকঘরটি দুই যুগ ধরে সংস্কারবিহীন ছিল। এনিয়ে হতাশায় ছিলেন ডাকঘরের গ্রাহকরা।
উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় এতদিন ডিজিটালের যুগেও এই অফিসটি জরার্জীণ অবস্থায় রয়েছিল। রোদ্র আর বৃষ্টিতে ভিজে নানা কষ্টের বিনিময়ে অফিসিয়ালি কাজকর্ম সেরেছে কর্মকতা-কর্মচারীরা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চক্তর সন্নিকটে অবস্থিত দুই যুগ পূর্বে নির্মিত হয় এই উপ-ডাকঘরটি অল্প জায়গায়। প্রতিবছর বর্ষায় ভিজে, রৌদ্রে পুড়ে বেহাল অবস্থায় ছিল অফিসটি। বর্ষা মৌসুমে ডাকঘরের ভেতরে বাহিরে পানিতে নিমজ্জিত থাকতো। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদনও হয়েছিল। যার ফলে, দৃষ্টিগোছর হয় উদ্বর্তন কতৃপক্ষের।
২/১ পূর্বে ঈদগাঁওতে ডাকঘরের অফিস নির্মানের লক্ষে উধ্বর্তন কতৃপক্ষ জায়গা পরিমাপ করে যাওয়ার বেশকিছু দিন পর পূর্বেকার জায়গায় নির্মিত হল নব-নির্মিত অফিস। সাথে বেলকণি ও বাথরুম রয়েছে। এমনকি উপ-ডাকঘরের আওতাধীন ঈদগড়, পোকখালী, নাপিতখালী ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, ছৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী তে শাখা অফিস রয়েছে।
ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার মোহাম্মদ হোসেন জানান, দীর্ঘ ২৪ বছর পর এই সরকারী অফিসটির বেহাল দশা আর জরার্জীণতা কাটিয়ে অবশেষে নতুন অফিস করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সে সাথে দ্রুতসময়ে অফিস উদ্বোধনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।