রাউজানে শিশুকন্যা তথা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামী সাধন বড়ুয়াকে (৭৫) থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।মঙ্গলবার পুলিশ আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করেছে। অন্যদিকে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার পর জবানবন্দীর জন্য তাকে কোর্টে নেয়া হয়।
এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার এস.আই শাহাদাত হোসেন এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করে বলেন ‘র্যাব-৭’র হাটহাজারী ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা কথিত ধর্ষক উপজেলার উরকিরচর আবুরখীল নন্দনকানন এলাকার মৃত যামিনী বড়ুয়ার ছেলে সাধন বড়ুয়াকে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর একইদিন রাতে আসামীকে থানায় সোপর্দ করে। আজকে (গতকাল মঙ্গলবার) আসামীকে কোর্টে প্রেরণ ও শিশুটির মেডিকেল টেষ্ট এবং জবানবন্দী দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হয়।’ এদিকে দুইদিন পর থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা সুকুমার বড়ুয়ার অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহণ করে। একইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় এক মেম্বারের বাড়িতে আশ্রয় নিতে যাওয়ার সময় র্যাব-৭’র হাটহাজারী ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা ধর্ষক সাধন বড়ুয়াকে আটক করে।
রাঙামাটি পৌরসভা নম্বর ওয়ার্ডের ভেদভেদী এলাকার মৃত রুহিনী বড়ুয়ার ছেলে সুকুমার বড়ুয়া বলেন ‘আসামী সাধন বড়ুয়া আমার ১১ বছর বয়সী মেয়েকে রাউজান উরকিরচর ইউনিয়নের আবুরখীল নন্দনকানন গ্রামে শনিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল আনুমানিক ৪টায় ফুসলিয়ে ও লোভ লালসা দেখিয়ে তার বসতঘরের দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুর পাড়ে জঙ্গলে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং ৫শ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দেয়। পরে আমার বোন প্রতিমা বড়ুয়া আমার মেয়ের হাতে ৫শ টাকার নোট দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার মেয়ে আমার বোনের কাছে স্বীকার করে যে, আমার অবুঝ নাবালিকা শিশুকণ্যাকে ফুসলিয়ে ও লোভ লালসা দেখিয়ে সাধন বড়ুয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করেছে। রবিবার রাউজান থানায় এসে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
উল্লেখ্য যে, মাতৃহীন শিশুটি তার ফিসি রাউজানস্থ আবুরখীলের শ্বশুর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। সে আবুরখীল অমিতাভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী।