চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেড়ানোর কথা বলে তরুনীকে আবাসিক হোটেলে এনে গণধর্ষণ এর কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধী প্রদান করেছে এ মামলায় অভিযুক্ত তিন ধর্ষক ও হোটেল ম্যানেজার। তবে তারা দাবী করেছে এই তরুনীকে যৌনকর্মী হিসেবেই ভাড়া করে আনা হয়েছিলো। এখন সে মিথ্যা প্রেমের গল্প সাজিয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কৌশিক আহমেদ চৌধুরী ও শিপলু দে’র আদালতে তারা জবানবন্ধীতে এসব কথা বলেন। স্বীকারোক্তি প্রদানকারী অভিযুক্তরা হলো ধর্ষক ও মেয়েটির প্রেমিক সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কাশেমের ছেলে ইমন ইসলাম (২০), তার বন্ধু সীতাকুণ্ডে
মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (১৯) এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী জলসা হোটেলের মালিক পৌরসদর দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে নুর উদ্দিন (৩৮)।
মামলাটির তদন্তকারী অফিসার সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, মিরসরাইয়ের তরুনীকে তার প্রেমিক ইমনসহ ৬ জন পৌরসদরের জলসা আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে গনধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আটককৃত প্রেমিক ইমনসহ তিন আসামি ও হোটেল ম্যানেজার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছে। বর্ণনাকালে আসামিরা দাবী করে যে ইমনের সাথে পরিচয়ের সূত্রধরে যৌনকর্মী হিসেবেই ভাড়ায় তাকে এই হোটেলে আনা হয়েছিলো। সেই হিসেবেই তারা মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এখন মেয়েটি নানান গল্প সাজিয়ে তাদেরকে অভিযুক্ত করছে। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, এ মামলায় আরো তিন আসামি রনি (২০), নয়ন (২২) ও তারেক (২০) এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই উপজেলার এক তরুনীর সাথে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরের ইমন নামক এক যুবক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে মেয়েটিকে বেড়ানোর নাম করে সীতাকুণ্ড পৌরসদরে অবস্থিত জলসা আবাসিক হোটেলে নিয়ে এসে ৫ বন্ধু সহযোগে ধর্ষণ করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়া মেয়েটি সোমবার সকালে থানায় এসে তাকে গনধর্ষণের কথা জানিয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে হোটেল ম্যানেজারসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।