ঘরে ঘরে বিদ্যু’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে রূপকল্প ২০২১: ‘২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মান সম্মত বিদ্যুৎ’ বিতরণ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে সব সময়ই বলা হচ্ছে বিদ্যুৎতের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের যন্ত্রপাতিগুলো ঠিক আছে কিনা, মান সম্মত কিনা তা নিয়ে অনেকটা সন্দেহ রয়েছে। কারণ বৃষ্টি এলেই পেকুয়া উপজেলা বিদ্যুৎ নিয়ে ভেলকিবাজি শুরু হয়। এটা শীত, বর্ষাসহ সব মৌসুমেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রত্যেকটা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে একাধিকবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। আবার অনেক লাইনে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ করে রাখতে হয়েছে ভুক্তভোগীদেরকে।
গ্রাহকরা টাকা দিবে, সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে উন্নয়ন করবে, কিন্তু যারা বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিচালনা করছে তাদের খামখেয়ালির কারণে বৃষ্টি এলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে গ্রাহকরা এটা কোনভাবেই ভালভাবে গ্রহন করছে না।
বহুদিন ধরে গ্রাহকদের অভিযোগ, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, পল্লীবিদ্যুৎ কর্মচারীদের অসভ্য আচরণ । যারা বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে এদের মধ্যে অনেকেই চাচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য। তা না হলে আজানের অর্ধেক হলে বিদ্যুৎ বন্ধ করবে কেন। বৃষ্টি এলেই কিংবা ঝড়ো হাওয়া দেখলে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে কেন। মূল সমস্যাটা কোথায়। এসব বিষয়গুলো গ্রাহকদের কাছে পরিস্কার করার জন্য অবশ্যই বিদ্যুৎ বিভাগকে স্পষ্ট বক্তব্য দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।