রাজশাহী জেলার অন্তর্গত গোদাগাড়ী উপজেলা ভূমি অফিস এর নৈশ প্রহরী ইসমাইল আজ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ এর মালিক। বিগত তিন বছর পূর্বে ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ী উপজেলা ভূমি অফিস এর নৈশ প্রহরী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তাঁর বাবা দিন মুজুর এর কাজ করে তাকে মানুষ করেন। তিনি ভাটো পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁর পিতা মোঃ সাইফুদ্দিন(৫০)।
তিনি গোদাগাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসের নাইট গার্ডের (নৈশ প্রহরী) চাকরি করেন। তিনি চাকরীর গত ৩ বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেন এর এলাকায় গোপনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এলাকাযর সাধারণ মানুষ এর তার বিষয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
তিন বছর আগে যাদের বাড়ি ঘর ছিল মাটির এবং বাঁশেরর বেড়া দিয়ে তৈরি।
বর্তমানে ২০/২৫ লাখ টাকা খরচ করে তিন তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একতলা বাড়ি নির্মাণ, বাড়ি নির্মাণের পর প্রায় ৬/৮ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র এবং প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি মটর সাইকেল নিয়ে রাজকীয় ভাবে চলাফেরা করেন। সেই সাথে তিনি এলাকায় বলেন আমি টাকার কোন অভাব নেই আমি নগদ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খুবই অবাক করার বিষয়।
গোপন সূত্রে জানা যায়, সে মানুষের কাছে থেকে জমি খারিজ করে দিব বলে ৫০০০-১০০০০টাকা নেন এক একটা খারিজের জন্য। আবার নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে ভূক্তভোগী ব্যাক্তি তাঁর কাছে খারিজ এর বিষয়ে জানতে তিনি বলেন আপনার কাগজ এ সামান্য ভুল আছে সেটা সমাধান করার জন্য স্যারকে বলেছি এই বলেও হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন সে অবৈধ ভাবে রাতে ভূমি অফিসে মূল্যবান কাগজ দিয়ে টাকা নেন।সে একজন অফিসার এর চেয়ে বেশি টাকা আয় করে।
এ বিষয়ে ইসাহাক আলী নামে এক অসহায় ব্যাক্তি গত ২৩/০৯/২০২০ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক রাজশাহী বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই সাথে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সু নজরে আসার ও তার বেআইনী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।