সীতাকুণ্ডের ছোটদারোগারহাটে বেড়াতে এসে ঝর্ণায় নেমে মারা গেছেন এক পর্যটক। শুক্রবার সকালে ঐ পর্যটক ঝর্ণায় নিখোঁজ হলে সন্ধ্যায় ডুবুরিরা তার লাশ উদ্ধার করেন। নিহত পর্যটকের নাম মাহফুজ বিন ইকবাল (২৮)। তিনি নওগা জেলার ধামইরহাট উপজেলার চকমইরাম গ্রামের ইকবালের বাড়ির মো. জাফর ইকবালের পুত্র। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকুরিরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ৬ বন্ধু সীতাকুণ্ডে বেড়াতে আসেন। এক পর্যায়ে তারা উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোটদারোগারহাট লবনাক্ষ পাহাড়ের সহস্রধারা ঝর্ণায় বেড়াতে গিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে গোছল করতে নামেন। সেখানে বন্ধুদের সাথে গোছলের এক পর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যান মাহফুজ। এসময় তার বন্ধুরা তাকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সীতাকুণ্ড ষ্টেশানের কর্মীরা অনেক খুঁজেও ডুবুরি না থাকায় সন্ধান পাননি। এতে তারা আগ্রাবাদ অফিসকে খবর দিলে সেখান থেকে ডুবুরি দল এসে বিকাল ৪টায় উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
ফায়ার সার্ভিস চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ স্টেশনের লিডার মফিজুল ইসলাম জানান, সীতাকুণ্ড ফায়ার ষ্টেশান থেকে খবর পেয়ে তারা ডুবুরি দল নিয়ে বিকাল ৪টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশটি তারা সীতাকু- হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যায় পর্যটকের মৃত দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি। তিনি নিহত মাহফুজের দুলাভাইয়ের বরাত দিয়ে জানান, মাহফুজ সাঁতার জানত না। এরপরও সে বন্ধুদের সাথে ঝর্ণায় নামায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ঐ ঝর্ণাটিতে পর্যটক নামা এমনিতেই নিষেধ আছে। এগুলো কোন সুরক্ষিত ঝর্ণা না। তারউপর সাঁতার না জেনে যদি কেউ নামে তাহলে তো নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। তিনি বলেন, নিখোঁজ হবার পর থেকে আমাদের পুলিশও সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল লাশ উদ্ধার করেছে।