বাবা কিংবদন্তি লেগ স্পিনার আব্দুল কাদির। ছেলে উসমান কাদিরও নিজের ছাপ রাখছেন পাকিস্তান দলে। লেগ স্পিন জাদুতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত এই তরুণের। তার ঘূর্ণিতেই তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডির যে জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে আফ্রিকান দলটিকে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা।
আজ (মঙ্গলবার) শেষ টি-টোয়েন্টিতে উসমান কাদির ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। তার বিষাক্ত স্পিনে জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করতে পারে ১২৯ রান। সহজ লক্ষ্যটা মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৪.৪ ওভার আগেই টপকে যায় পাকিস্তান।
আগের ম্যাচে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন কাদির। শেষ ম্যাচে ওই সাফল্যকেও ছাড়িয়ে গেছেন ২৭ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন চামু চিবাবা (২৮ বলে ৩১), ওলেসলি মাধেভেরে (১৪ বলে ৯), মিল্টন শুম্বা (১২ বলে ১১) ও এল্টন চিগুম্বুরা (৬ বলে ২)। চিগুম্বুরা এই ম্যাচ খেলেই বিদায় নিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।
পাকিস্তানের উইকেট উৎসবের শুরুটা করেছিলেন অবশ্য ইমাদ ওয়াসিম। এই স্পিনারের বলে ১১ বলে ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর। পরে তিনি আরেকটি উইকেট পেয়েছেন রায়ান বার্লকে (১) ফিরিয়ে। ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও জিম্বাবুয়ের স্কোর ১২৯ পর্যন্ত যাওয়ার পেছনে বড় অবদান ডোনাল্ড তিরিপানোর। ২২ বলে তিনি করেন ২৮ রান।
১৩০ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতেই পাকিস্তান পায় ৩৯ রান। ফখর জামান ২৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তবে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ৩৩ বলে হার না মানা ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। তার চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন খুশদিল শাহ। মাত্র ১৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়ান ডাউনে নামা হায়দার আলী ২০ বলে করেন ২৭।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৯/৯ (চিবাবা ৩১, তিরিপানো ২৮, শুম্বা ১১, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১১; কাদির ৪/১৩, ইমাদ ২/২৭)।
পাকিস্তান: ১৫.২ ওভারে ১৩০/২ (আব্দুল্লাহ ৪১*, খুশদিল ৩৬*, হায়দার ২৭, ফখর ২১; মাসাকাদজা ১/১৯, শুম্বা ১/২৮)।
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ৩-০তে জয়ী।
ম্যাচসেরা: উসমান কাদির।
সিরিজসেরা: উসমান কাদির।