ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ভরাডুবা এলাকা থেকে এক গৃহবধূকে (২৩) অপহরণ করে গাজীপুরের শ্রীপুরে এনে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে বিক্রির মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. সোহাগ মিয়া (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-১ এর গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ভরাডোবা এলাকা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ করে প্রাইভেটকারে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায় এনে একটি রুমে আটকে রাখে আসামিরা।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে কোকাকোলার সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে তিন বন্ধু সারা রাত পালাক্রমে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে। অপহরণ ও ধর্ষণের মূল হোতা সোহাগ ওই ভিডিও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, র্যাব-১ এর সদস্যরা মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে জয়দেবপুর থানার মনিপুর এলাকা থেকে সোহাগ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সোহাগ জানায়, সে পেশায় একজন বাসচালক। তার অন্যান্য সহযোগী তিন বন্ধু মিলে গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারণ করে। পরদিন সকালে ধর্ষ করা ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যায়।
সোহাগ র্যাবকে আরো জানায়, অর্থের বিনিময়ে ওই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা।
র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করে।