চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিআরটিএ’র দাদালসহ ১২ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আটককৃতরা ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীদের জাল শিক্ষাগত সনদ সরবরাহকারী ৪ জন ও ৮ আবেদনকারী। বুধবার দুপুুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
আটককৃতরা হল- জালসনদ সরবরাহকারী (তথ্যের ভিত্তিতে আটক) সদর উপজেলার ঘুঘুডিমা গ্রামের মোঃ আকবর আলীর ছেলে মোঃ সৈয়বুর রহমান (৩৫), গাবতলা এলাকার মোঃ হানিফ আলীর ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম (২৮), স্বরুপনগর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ মনোয়ার হোসেন পল্টু (৪০) ও নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডি গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দীনের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন (২৯) এবং জাল সনদে আবেদনকারী সদর উপজেলার চক দৌলতপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২১), একই উপজেলার দিনোনাথপুর গ্রামের মোঃ জেম আলীর ছেলে মোঃ তোহিদুল ইসলাম (২৯), বারঘরিয়া তফসিল পাড়ার মোঃ সেমাজুলের ছেলে মোঃ শিমুল (২৩), তাহেরপুর বালূগ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আসমাউল হোসেন (৩২), মাঝপাড়ার তারেক আহম্মদের ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন (২৬)।নাচোল উপজেলার কামার জগদল গ্রামের মোঃ রশিদুল হকের ছেলে মোঃ এমদাদুল হক (৩৪), গোমস্তাপুর উপজেলার বাজারপাড়া গ্রামের মৃত সেরাজুলের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (২৪) ও বাঙ্গাবাড়ি রিফুজিপাড়ার মোঃ আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৫)।
বুধবার(২০ জানুয়ারী) বেলা ৩ টার দিকে
এক প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ মাহবুব আলম খাঁন পিপিএম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৪ জন জাল সনদ সরবরাহকারী ও ৮ জন ভুয়া জাল সনদে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আবেদনকারীরা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ আবেদনে সংযুক্ত করেছে, তা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নয় বলে প্রত্যয়ন দিয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। সেই সুত্র ধরে প্রথমে ৮ জন আবেদনকারীকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, জাল সনদ প্রদানকারী ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত আসামীদের প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।