রাজধানীর বাড্ডায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা কামাল হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামিকে উপস্থিত ছিলেন। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৮-৯ বছর আগে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়। এরপর ভুক্তভোগী তার দাদির কাছে থাকত। ডিভোর্সের পর লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন আসামি। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভুক্তভোগীকে তার বাবা কামাল হোসেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে নিয়ে যান। এ নিয়ে তার সৎমায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে একই বছরের ২ মে ভুক্তভোগীকে নিয়ে তার বাবা বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। ওই বছরের ৪ ও ৫ মে আসামি কামাল হোসেন ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
গত বছরের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই আল-ইমরান আহম্মেদ আসামি কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।