চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তর্ত্তিপুর মহাশ্মশানে মাকরী সপ্তমী মহাপূর্ণ স্নান উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাম্মবলীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ বছর নদী খসনের কারনে নদীতে গঙ্গা জল বৃদ্ধি পাওয়ায় র্পণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।নেয়া হয়েছে বাড়তি সর্তকতা। সেসাথে এ গনজমায়েত কে উদ্দেশ্য করে তক্তিপুর ঘাট এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গড়ে উঠেছে মেলা। মেলা চলবে ৩ দিন।
জানা গেছে, সনাতন শাস্ত্র মতে ভগীরত গঙ্গা নদীর জল প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশে আশার সময় তর্ত্তিপুর ঘাট এলাকায় শ্মশানের পাশে পৌছালে নিম গাছের নীচে জাহ্নবীমনির আশ্রম থেকে তাদের দেবতা জাহ্নবীমনি গঙ্গার জল ভূলবশতঃ পান করে ফেলে। এতে ভগীরত ক্ষুব্ধ হলে জাহ্নবীমনি তার জান কেটে সেই জল বের করে দেয় এবং গঙ্গা মুক্ত হয়। সেই থেকে গঙ্গার এই জল প্রবাহ বলে সনাতন ধর্মাম্মবলীরা বিশ্বাস করে। আর এই উপলক্ষ্যে এই দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ণ লাভের আশায় সনাতন ধর্মাম্মবলীরা জমায়েত হন। স্নান শেষে অধিকাংশ পূণ্যার্থী দই চিড়া ভোজ খেয়ে গঙ্গার জল সাথে নিয়ে নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে যান। মেলায় কির্তন, গীতা পাঠ ও ধর্ম সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।পাশে শ্মশান থাকায় অনেকে হারানো আপনজনদের জন্য প্রার্থণা করেন।
এদিকে প্রথমবার স্মান এলাকায় অসুস্থ ও সমস্যায় পড়াদের সহায়তা করতে ঘাট প্রাঙ্গনে স্থাপন করা হয়েছে একটি ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিম।এ টিমের সদস্যরা িিচকিৎসা প্রদান,বিনামূল্যে ঔষধ বিতরন ও করোনার প্রতিরোধক উপকরন বিতরন করছে।পাশাপাশি এবছর পূণ্যার্থী সংখ্যা দ্বিগুন হওয়ায় একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি ভ্রম্যমান আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে।
কলেজপড়ায়া সনাতন ধর্মের রাধারাণী জানান, তিনি গতবছর লকডাইনের কারনে না আসলেও এবছর প্রচুর ভক্তদের দেখে আনন্দিত।
অপর পূণ্যার্থী কল্পনা রাণী জানান, নদীতে জল কমে যাওয়ায় গত ২ বছর তিনি শ্মানে আসেননি।তবে এবছর শ্মানে এসে বেশ ভাল লেগেছে।
তর্ত্তিপুর মেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী কমোল কুমার ত্রিবেদী জানান, নদী খননের কারনে জল বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং গত বছর লকডাউনের কারনে পূণ্যার্থী আসতে না পারায় এবছর সারাদেশের দুরদুরান্ত থেকে গত বছরের দ্বিগুন লক্ষাধিক ভক্ত পূর্ণ লাভের আশায় এবছর মহাশ্মশান এলাকায় জমায়েত হয়েছে। পবিত্র গঙ্গার পানিতে এ দিনে পূণ্যার্থীরা সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্নান করে করে থাকে। এই গঙ্গাস্নান উপলক্ষ্যে তর্ত্তিপুর ঘাট এলাকায় বৃহৎ একটি মেলা বসে থাকে। মেলায় হিন্দুদের শাখা, সিঁদুর, খাড়–, শঙ্ক, বিভিন্ন দেবতার ছবি সহ পোষ্টার, বই, গীতা, পুঞ্জিকা, কাঠের তৈরী প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র, গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার যোগ্য বিভিন্ন জিনিসপত্র, মিষ্টির দোকান ও হোটেল, কসমেটিক্স দোকান সহ হরেক রকম দোকান মেলা উপলক্ষ্যে তর্ত্তিপুর ঘাট এলাকায় বসে থাকে।