উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম সড়কপথ কক্সবাজার- চট্রগ্রাম মহাসড়ক। উক্ত মহাসড়কের কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও বাস স্টেশন এলাকায় তিনটি মহাসড়কের দুইপাশে বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার পাহাড় ডিঙিয়ে আসতে হয় এ অঞ্চলের মানুষের। শুধু তাই নয়, সড়কের আশপাশের ময়লার স্তুপ নিয়ে রীতিমতো দুর্ভোগে স্থানীয় বাসিন্দারাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিনই, পাড়া-মহল্লাসহ শিল্প-কারখানার বর্জ্য ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও ভ্যানগাড়ি করে ওই মহাড়কগুলোর পাশে ফেলা হচ্ছে। কক্সবাজারের খুব কাছে ঈদগাঁও প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা না হওয়ার সত্ত্বে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় এমনটা হচ্ছে। ময়লার পাহাড়টি প্রকৃতির তৈরি নয়। কিছু অসচেতন মানুষের তৈরি কৃত্রিম পাহাড়।
১১সেপ্টেম্বর শুক্রবার মহাসড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাস স্টেশনের আরকান মহাসড়কের জাগির পাড়ার রাস্তার মাথা, দরগাহ পাড়া রাস্তার মাথা, ইসলামী ব্যাংকের সামনে, ডিসি রোডের মাথায়, ভাই ভাই হোটলের সামনে, মধুবনের সামনে, ঈদগাঁও লাইন সার্ভিসের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তুপ। যা দেখে মনে হবে- ছোটো খাটো পাহাড়। যত দিন বাড়ছে তত বেড়েই চলছে যেখানে-সেখানে ময়লার স্তুপ। এতে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। চরম হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
সড়কের পাশ দিয়ে প্রতিদিন হেঁটে যাতায়াত করে মুসল্লিরা হাজার হাজার জানসাধাণ এরা জানান এ সড়কের পাশে ময়লার স্তুপ থাকায় প্রতিদিনই মসজিদে যাতায়াতের সময় নাক চেপে ধরে কয়েক মিনিটের পথ যেতে হয়। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান-প্রতিদিনই বাসা থেকে বেড়িয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে নাক চেপে ধরে যেতে হয়। নিঃশ্বাস আটকাইয়া রাখতে রাখতে দমই বন্ধ হইয়া যাইতে চায়। কিছুদিন আগে দুর্গন্ধে অসুস্থও হয়ে পরছিল কয়েক জন জানসাধাণ।
পথচারীরা জানান-এমনিতে সড়কের পাশে ময়লা ফেলায় প্রচুর গন্ধ। এছাড়া ময়লার স্তুপে দেয়া হয় আগুন। পুরো রাস্তা তখন ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়, দেখা যায় না কিছুই। মাঝে মধ্যে এমন অন্ধকার হয় যে, বাস অন্য গাড়ির ওপর উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কোনো কোনো সময় ময়লা সড়কের ওপরেই ফেলে রাখা হয়। ফলে সড়কের প্রশস্ততা কমে যায়। ময়লা পচে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এরফানুল করিম জানান-একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশন ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক ৩নং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর রহমান আযাদ জানান- বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের ও ছিল না যার ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়নি। আগামীতে যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।