ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়। ভিনদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিয়েছে তারা। সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে রুশ আগ্রাসনে ৩৫২ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া ইউক্রেনীয়দের নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের তরফে মানবিক তৎপরতার প্রচেষ্টা জোরদারের কথা জানান তিনি।
বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থার কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ সীমান্ত এলাকার দিকে যাত্রা করছে। এর পাশাপাশি আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিরোধের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে অনেকে।
কিয়েভ অভিমুখে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। পিস্তল, ছুরি কিংবা হাতুড়ি যে যা পেরেছেন তাই নিয়ে হাজির হয়েছেন লোকজন হাজির হয়েছেন এসব ব্যারিকেডে। বালুভর্তি বস্তা, কাঠের বাক্স ও ইট স্তূপ করে এসব স্থানে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা।
এদিকে রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫২ বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার এক বার্তায় মন্ত্রণালয় এ দাবি করে বলে জানিয়েছে সিএনএন। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। গত চার দিনে এ সংখ্যক বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইউক্রেনের।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত চারদিনে ১৪ শিশু মারা গেছে। এছাড়া, ১১৬ শিশুসহ এক হাজার ৬৮৪ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জবাবে একাট্টা হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। একের পর এক শহর রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে। যদিও ইউক্রেনের সৈন্যরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। সৈন্যদের পাশাপাশি বেসামরিকদেরও অস্ত্র দিচ্ছে দেশটির সরকার।