অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী
#বুকভরা আশা ও সাহস নিয়ে ছুটে গিয়েছিলাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের #প্রান্তরে, #মনভরা ভলোবাসা ও অসংখ্য দিকনির্দেশনার ফলাফল নিয়ে ফিরে এলাম উখিয়ার #প্রাণবন্তরে!!!
“আমি সেই অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী”
২০০৩ এবং ২০১৫ দুই মেয়াদে আমি যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি পদে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে।এই গুরু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যা আমার পর্যবেক্ষন তা মোটেই সুখকর নয়।সময়ে সময়ে যেমন সুর্য এবং চন্দ্র গ্রহন হয় ঠিক অনুরূপ ভাবে আমার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, উখিয়া উপজেলা স্তরেও গ্রহনকাল আসে।১৯৯৭ সালেও এহেন অমানিশা ভর করেছিল দলের উপর। তবে অমানিশা যেভাবে কেটে যায় এবং গ্রহনকালেরও যেমন অবসান ঘটে ঠিক তেমনিভাবে এসব অন্তঃকলহের যবনিকাপাত ঘটে এক সময়। মাঝখানে সুগ্রথিত বন্ধনে আঁচড় পড়ে অনিশ্চিত সময়ের তরে।
এবারো যথা পূর্বং,শুধুমাত্র আমাকে ঠেকানো! তার জন্য একটা সভা ডেকে আমাকে সবাই মিলে অনাস্থা দিলেতো হয়ে যায়। এতো কাদা ছুড়াছুড়ি কেন?লোক হাসানোর কোন মানে হয়? যেভাবে দল বেঁধে উখিয়া-কক্সবাজার দৌড়ঝাপ মনে হয় যেন হাশরের মাঠে ছুটাছুটির রিহার্সাল হচ্ছে!
জেলা কমিটি এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কেতা বের নির্যাসটার দিকে চোখ দিলেই সব সংকট জলবৎ তরলং হয়ে যায় বা যেতো।কিন্তু বিধি বাম,”গঠনতন্ত্রের বিধান নিভৃতে কাঁদে”।
শেষ পর্যন্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্র নামক কেতাব টাকে বগলে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজধানী কেন্দ্রীয় কমিটির স্মরনাপন্ন হতে হয় আমি গো বেচারা মানুষটাকে আওয়ামী লীগের নিউক্লিয়াস যারা তাঁরাই শেখাল প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা কি,আপদকালীন প্রবিধান কি এবং স্বেচ্ছাচারীতার ব্যবস্হাপনা কাকে বলে।
উখিয়ার কতিপয় জগদ্বিখ্যাত নেতৃবৃন্দের(!) গোল্লাছুট ও কক্সবাজারের স্বঘোষিত বাদশাহ জাহাঁপনা ও তার পারিষদদের আমলনামা তথ্য-উপাত্ত, প্রমান ও প্রেক্ষাপট কতৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হয়।
অতঃপর কতৃপক্ষ উখিয়া-কক্সবাজারে দলে যা চলছে তা নিয়ে উষ্মা ও ক্লেদ প্রকাশ করেছেন।
মাননীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের,যুগ্ম সম্পাদক জনাব মাহবুবুল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আহমেদ হোসেন এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্ঠার বিপ্লব বড়ুয়া সবাই বলেছেন দল চলবে গঠনতন্ত্রের আলোকে,ব্যক্তির ইচ্ছে অনিচ্ছায় নয়।সুতরাং উখিয়ায় বিদ্যমান নির্বাচিত কমিটির স্হলে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের চেষ্ঠা অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূত এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। সম্মানিত উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহোদয়কে সুস্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য।
আমি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী সুস্পষ্ট ভাবে দায় দায়িত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য প্রকাশ করছি। যদি কেউ সন্দেহ পোষন করেন এ বিষয়ে প্রয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে পারেন অথবা দলের দপ্তর সম্পাদক সাহেবের কথা বলে নিশ্চিত হতে পারেন।যদি মিথ্যা বলে থাকি বর্ণিত নেতৃবৃন্দই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেবেন,চ্যালেন্জ।
এরপর যার যার করণীয় তারা নিজেরাই নির্ধারন করবেন।
প্রতিক্ষায় রইলাম কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা।
ধন্যবাদ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সকল নেতৃবৃন্দদের প্রতি ।।
ধন্যবাদন্তে:-
অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী
সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উখিয়া উপজেলা শাখা,
উখিয়া, কক্সবাজার।