নগরীতে যৌতুক এর দাবীতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন এর ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন মুশরইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই এর জন্য মুশরইল এলাকায় গিয়ে প্রতিবেশীদের নিকট হইতে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে গত প্রায় ০৮ বছর পূর্বে নির্যাতিত গৃহবধূ নাজমা, পিতা- খইবর আলী, সাং- মুশরইল, থানা- চন্দ্রিমা , মহানগর রাজশাহীর, একই এলাকার মোঃ মোতাহারুল ইসলাম, পিতা- ইসাহক মোল্লা, সাং- মমুশরইল, থানা- চন্দ্রিমা, মহানগর রাজশাহী বিবাহ হয়।
বিবাহিত জীবনে নাজমার খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি। বিবাহের কিছু দিন পর নাজমার উপর নেমে আসে যৌতুক এর টাকার জন্য অমানুবিক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়।
নাজমা কোন উপায় না পেয়ে বিভিন্ন এনজিও হইতে ৬,৮০,০০০/( ছয় লক্ষ আশি হাজার) টাকা ঋণ নিয়ে স্বামী কে দেন। তার পর কয়েক দিন ভাল কাটলেও হঠাৎ হারিয়ে যায় নাজমার স্বামী মোতাহারুল ইসলাম।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারেন যে, সে তার আগের স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে আছেন। এ দিকে এনজিও কর্মীরা আসেন নাজমার কাছে কিস্তি আদায় করতে।
নাজমা দিশে হারা হয়ে গত ০৩/০৯/২০২০ ইং তারিখ বিকাল চারটায় চকপাড়া মসজিদ সংলগ্ন বসিরমিস্ত্রীর বাড়িতে তার স্বামীর কাছে কিস্তির টাকা চাইতে গেলে সে বলে তুই বাসায় যা আমি সন্ধ্যায় এসে টাকা দিচ্ছি।
পরে সন্ধ্যায় মোতাহারুল, তার আগের স্ত্রী নুরজাহান রিতা ও ছেলে সামিউল ইসলাম রাজকে নিয়ে এসে নাজমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। নাজমার চিৎকার সুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে নাজমাকে ফেলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা নাজমাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
চিকিৎসা শেষে নাজমা ন্যায় বিচারের জন্য দারে দারে ঘুরে কোন বিচার না পেয়ে গত ১৭/০৯/২০২০ ইং তারিখে রাজশাহীর মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৭১ পি/২০২০(চন্দ্রিমা)। ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ১১(গ)/৩০ ধারা।
নাজমার এখন একটি মাত্র চাওয়া যে, সে অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবে।
এ বিষয়ে বিবাদী মোতাহারুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলো আমাদের পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।