মেজর অবঃ সিনহা মো.রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ড মনঞ্জুর করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুবেল শর্মাকে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার কারাগারে।
র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ানের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রুবেল শর্মা ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে টেকনাফ থানা থেকে আটক করা হয়।
রুবেল টেকনাফ থানার সাবেক বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বডিগার্ডের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রুবেলকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশের কনস্টেবল রুবেল শর্মার নাম আসে। এর প্রেক্ষিতে রোববার রাতে র্যাবের একটিদল রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার রুবেলকে পরবর্তীতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৭দিনের রিমান্ড মনঞ্জুর করেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর এবিপিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এঘটনায় এবিপিএন এর ৩ সদস্য, পুলিশের ৩ জন স্বাক্ষী, কনস্টেবল রুবেলসহ ১৪ জন কারাগারে আছেন। এ মামলায় ১২ জন আসামী বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।