উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও মুন্না গ্রুপের মাঝে দফায় দফায় হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে ভোর পর্যন্ত কুতুপালং ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।এতে কুতুপালং ৩নং ক্যাম্পে এফ ব্লকের আশ্রিত রোহিঙ্গা ছৈয়দ আলমের মেয়ে সমিরা আক্তার(৪১)গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় বলে ২ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন।তিনি আরো বলেন এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আরো ৭ রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। তাদেরকে অন্যান্য রোহিঙ্গারা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুতুপালং এম এস এফ হাসপাতালে ভর্তি করেন।বর্তমানে ক্যাম্পে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য,বুধবার রাতেও আরসা ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে রাতভর গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।এ সময় ১০ রোহিঙ্গা আহত হয়।রেজিস্ট্রাড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান,ক্যাম্পের মধ্যে আরসা গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দন্ধের কারণে দিন দিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
যার ফলে নিরহ রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত হয়ে ভয়ভীতিতে জীবন যাপন করছে।
উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহমেদ সন্জুর মোরশেদ জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও মুন্না গ্রুপের গুলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উখিয়ায় যোগদান কৃত নবাগত ইউএনও মোঃ নাজিম উদ্দিন আহমেদ।