কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আরসা ও মুন্না গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ও রবিবার ভোর ৪টা এবং সকালে অগ্নিকান্ড ও কুতুপালং ক্যাম্পে পৃথক সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনায় হতাহত হয়।
নিহতরা হলেন- ক্যাম্প- ২ ডব্লিউ ডি -৩ ব্লকের ছৈয়দ আলমের ছেলে ইমাম শরীফ (৩২) ও একই ক্যাম্পের মোঃ ইউনুছের ছেলে শামসুল আলম (৪৩)।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ছৈয়দ আলম,আনোয়ারা বেগম,ইমাম হোসন,মোঃ রাসেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুতুপালং এম এস এফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের বিভিন্ন এনজিওর হাসপাতাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রাড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান,রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা রবিবার সকালে কুতুপালং ক্যাম্পেরর সি-ব্লকের ৩৮ শেড-৪৭/৪৮ ই-ব্লকের ১২/১৩ শেডের ঝুপড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে।
ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগেরর খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
উল্লেখ্য,গত কয়েকদিন ধরে আরসা ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্রে করে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে আসছে।বৃহস্পতিবার রাতে দু,গ্রুপের সংঘর্ষে কুতুপালং ক্যাম্পে সমিরা আক্তার (৪৩)নামের এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়।
বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সন্ত্রাসীদের আরত খানা হিসেবে গড়ে উঠেছে।দিনে রাতে চলছে খুন,রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনা দিনদিন বেড়ে চলছে।সাধারণ রোহিঙ্গা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা।পাশাপাশি কিছু বলতে গেলে হামলা ও খুন হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনের নৈরাজ্যর ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্ববিঘ্ন হয়ে পড়েছে।ক্যাম্পে দেখা দিয়েছে অশনি সংকেত।রোহিঙ্গাদের এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে চিরনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করা না হলে স্থানীয়দের আতঙ্কে দিন কাটটে হবে বলে উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন।
উখিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ হতাহতদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ক্যাম্পে দু,পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত দু,জনের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাব, পুলিশ ও আর্মড ব্যাটালিয়ান সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।