সাভারের আশুলিয়ায় তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হেলাল উদ্দিন শেখ (৫৬) নামের এক বাড়িওয়ালা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার মজুমদার আসামি হেলাল উদ্দিনকে আদালতে হাজির করেন। হেলাল উদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদার তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। হেলাল ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানাধীন ছয়ানী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে শিশুদের পক্ষ থেকে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে প্রতিকার চাওয়া হলে বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার উত্তর মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। এরপর হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশ বলছে, আশুলিয়ায় বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ৬ অক্টোবর সন্তানদের বাড়িতে রেখে তাদের মা-বাবা কারখানায় যাওয়ার পর তিন শিশু বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিনের মাধ্যমে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়। শিশুদের অভিযোগ, কাউকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে, আবার কাউকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তিন শিশুকে ধর্ষণ করেন হেলাল উদ্দিন। এর মধ্যে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী শিশুদের পরিবারকে নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হয়। ভয়-ভীতি দেখিয়ে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী এক শিশুর পক্ষ থেকে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বরে ফোন করে প্রতিকার চাওয়া মাত্রই আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। পরে আটক করা হয় বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিনকে।