কক্সবাজারের পেকুয়ায় দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় আমির হোসেন (৪০) নামের এক সৌদি প্রবাসীকে লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় স্থাপনা নির্মানের জন্য মাটি দিয়ে ভিটা ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সোমবার (২৬অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া মডেল কেজি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আমির হোসেন উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে। আহত আমির হোসেন জানায়, পেকুয়া সদর মাতবর পাড়া এলাকা থেকে এবিসি সড়ক লাগোয়া নাছির উদ্দিনের কাছ থেকে কিছু দিন আগে ৬শতক জমি ক্রয় করি। দীর্ঘ দিন প্রবাস থেকে সহায় সম্বল বিক্রি করে ওই জমি ক্রয় করি। সম্প্রতি মাতবর পাড়া এলাকার মনজুর আলমের ছেলে বাহার উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন ও নুরুল হুদা আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে ঘর নির্মান করতে দিবেনা বলে প্রায় সময় হুমকিসহ বকাবকি করে। সোমবার খরিদা জায়গায় ঘর নির্মানের জন্য মাটি ভরাট করছিলাম। এ সময় বাহার উদ্দিনসহ তারা তিন ভাই এসে মাটি ভরাট কাজে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। আমি প্রানে বাঁচতে দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই। মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।আমি ভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এসে ঘর নির্মান করছি বলে আমার উপর অত্যচার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী সালাহ উদ্দিন, খোরশেদ জানায়, প্রবাসী আমির হোসেন ঘর নির্মানের জন্য মাটি ভরাট কাজ করছিলেন। হঠাৎ বাহার উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন ও নুরুল হুদা এসে বকাবকি শুরু করে। মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়। আমির হোসেনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিনি প্রানে বাচতে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। চাঁদা দাবীর বিষয়টি আমরা জানিনা। তবে জায়গা নিয়ে নাছির উদ্দিনের সাথে বিরোধ থাকতে পারে। অভিযুক্ত বাহার উদ্দিন জানায়, চাঁদা দাবীর বিষয়টি ভিত্তিহীন। আমাদের জায়গার উপর মাটি ভরাট করছিল। আমরা নিষেধ করেছি। আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানায়, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।