নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সহকর্মী বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গার্মেন্টস কর্মী। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মুল আসামি সোহেল মিয়াসহ (৪০) ওই কিশোরীর বান্ধবী আদুরী বেগমকে (২৮) গত শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোহেল পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ভগবানপুর গ্রামের কমির মিয়ার ছেলে এবং আদুরী শাখাহার ইউনিয়নের চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে এবং জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম তার স্বামীসহ ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে। একই বাসায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। এই সুবাদে আদুরীর সঙ্গে ওই কিশোরীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। শুক্রবার আদুরী বেগম গাইবান্ধায় তার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসে।
আদুরীর দুলাভাই সোহেল ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে শুক্রবার মোটরসাইকেলযোগে ঘুরতে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেল ও তার চারজন বন্ধু মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই রাতে উপজেলার বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
ওই রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন শুক্রবার রাত ১টায় ওই কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ধর্ষিতার বিবরণ মোতাবেক পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর শনিবার অভিযান চালিয়ে সোহেল মিয়া ও আদুরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।