মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক দেশটির রাখাইন রাজ্যে সংগঠিত রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় সহায়তা করার জন্য আনুষ্ঠানিক আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
বুধবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিলিপে শ্যাম্পে এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানান। খবর এএফপির।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গণহত্যা কনভেনশন মেনে নেওয়া দেশগুলোর শুধু গণহত্যা ঠেকানোই উদ্দেশ্য নয়। বরং এজন্য যারা দায়ী তাদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনাটাও তাদের দায়িত্ব।
মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে গাম্বিয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে গাম্বিয়াকে মামলায় সমর্থন দেওয়ার জন্য গণহত্যা কনভেনশন মেনে নেওয়া দেশগুলোকে আবারও আহ্বান জানায় কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
বিবৃতিতে শ্যাম্পে ও ব্লক বলেন, মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এ মামলায় কানাডা ও নেদারল্যান্ডস আইনি সহায়তা করবে। বিশেষ করে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতনের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে লড়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘর্ষ, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।
এ নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেতে এ মামলা করে গাম্বিয়া। এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১০-১২ ডিসেম্বর।
উভয়পক্ষের শুনানির পরে গত জানুয়ারি মাসে কোর্ট একটি অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। আদেশে মিয়ানমারকে গণহত্যা বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র,সমকাল