ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় এক কিশোরীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম খুরশিদ আলম (৩৪)।
শুক্রবার নির্যাতিত কিশোরী নিজে বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর রাতে খুরশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেফতার খুরশিদ আলম ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বৃহস্পতিবার বিকালে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠে। অটোরিকশায় আরও একজন যাত্রী ছিলেন।
ওই যাত্রী নেমে যাওয়ার পর অটোরিকশাচালক খুরশিদ ওই কিশোরীকে নিয়ে নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করে এবং রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঞা উপজেলার খুশীপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
খুরশিদ মোবাইল ফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে দুই বন্ধু মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে সুযোগ পেয়ে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এরপর শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে যায় এবং পরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলার অপর আসামি রাসেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।